ত্বকের ফাটা দাগ দূর করতে চর্মরোগ পরামর্শ
জেনে নিন কোন ঘরোয়া উপাদানগুলো ব্যবহারে ত্বকের ফাটাভাব কমিয়ে ফেলা যাবে।
ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করা
ত্বকের ফাটাভাব পুরোপুরিভাবে দূরে রাখতে চাইলে যেকোনো পণ্য অথবা ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ধৈর্য ধরে ধারাবাহিকতা ধরে না রাখতে পারলে ত্বকে ফাটা দাগের প্রভাব দেখা দেওয়া শুরু করবে।
নারিকেল তেল ব্যবহার করা
প্রাকৃতিক এই তেলে রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। যা ত্বকে উজ্জ্বলভাব আনতে ও ফাটাদাগ দূর করতে সাহায্য করে। ডা. নাজারিয়ান বলেন, ‘হাতের তালুতে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল নিয়ে আক্রান্ত ত্বকের চারপাশে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। টানা তিন মাস প্রতিদিন নারিকেল তেল ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে।’
আমন্ড অয়েল
ডা. নাজারিয়ানের মতে আমন্ড অয়েলে বিদ্যমান ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী উপাদান। প্রতিদিন নিয়ম করে আমন্ড ওয়েল ব্যবহারে ত্বকের ফাটাদাগ দেখা দেওয়া বন্ধ হয়। একইসাথে ফাটা দাগ তৈরি হলে সেটা সারাতেও আমন্ড ওয়েল কার্যকরী।
ত্বকের ফাটা দাগ রোধে ভিটামিন-সি
ডা. নাজারিয়ান বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল গবেষণা থেকে জানা যায়, ১২ সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন ভিটামিন-সি গ্রহণে ত্বকের ফাটা দাগের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।’ ভিটামিন-সি গ্রহণের ক্ষেত্রে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই। লেবু, কমলালেবু, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
দারুণ ময়েশ্চারাইজিং প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরা জেল ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ফাটাদাগ দূর করে। এমনকি চমৎকার এই উপাদান ত্বকের কাটাছেঁড়ার দাগ দূর করতেও কার্যকরী।
Tags:
ত্বকের যত্ন